। এ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যোগদানের পর থেকে তিনি এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলিল লিখকরা।
তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের শত শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। অভিযোগ আছে, সকল প্রকার দলিলে খাজনা, নামজারি, ডিসিআর ছাড়া দলিল নিবন্ধন করেন না। এছাড়াও তিনি সময়ক্ষেপণ করে দলিল নিবন্ধন করায় বিকেল তিনটার পর প্রতি দলিলে অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়ে থাকেন। এ অনিয়মের সহযোগিতা করেন সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান
জানা যায়, সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ সাব রেজিষ্টার মোঃ মজিবুর রহমান বদলি হয়ে আসার পর থেকে এ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কয়েকদিনের দলিল জমে থাকার কারণে দলিল নিবন্ধন সংখ্যা দীর্ঘ হয়। তিনি দায়িত্ব পালনের প্রথম দিনেই দালালদের সহযোগিতায় দলিল নিবন্ধন করেন। বিশৃঙ্খলা এড়ানোর অজুহাত দেওয়া হলেও দলিল লিখকদের দাবি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য দালাল এর সহযোগিতা নিয়েছেন। তিনি তিনটার পর কোন দলিল না করার ভয় দেখান। তিনি তার সহকারী ওমেদার মাধ্যমে প্রতি দলিলে ৩ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করে রাত ১০টা পর্যন্ত দলিল নিবন্ধন করেন।
সাব রেজিস্ট্রারের এসব কর্মকান্ডে দলিল লিখক থেকে শুরু করে দলিল দাতা ও গ্রহিতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিলের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। ফলে সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ মোতাবেক আরএস রেকর্ড মূলে মালিক হলে দলিল নিবন্ধনে কোন খাজনা, নামজারি ও ডিসিআর লাগবে না। দলিল মূলে মালিক হলে শুধুমাত্র ডিসিআর ও নামজারি জমা ভাগ লাগবে। আমমোক্তার, বিনিময়, বন্টন, দানের ঘোষনা, হেবা ঘোষনা, বিলওয়াজ হেবা, অছিয়ত, ভুল সংশোধন, ঘোষনা পত্র, না দাবি ক্ষেত্রে খাজনা, নামজারি ও ডিসিআর লাগবে দলিল নিবন্ধনে এমন কোন অধ্যাদেশ জারি হয়নি। সাব রেজিস্ট্রার মো: শেখ কাওসার আহমেদ দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি নিজের মনগড়া আইন তৈরি করে দলিল লিখক, দাতা ও গ্রহিতাকে চাপিয়ে দিয়েছেন। সাব রেজিস্ট্রারের নিয়ম মতো কোন দলিল না হলেই তিনি দলিল নিবন্ধনে তালবাহানা শুরু করেন। তার দাবিকৃত টাকা কেরানী ও নকল নবিশ কাছে জমা করার পর পেন্সিলের মাধ্যমে নাম্বার সংকেত দিলেই তিনি দলিল নিবন্ধন করেন। এতে করে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে দলিল লিখক, দাতা ও গ্রহিতারা।
আমির হোসেন নামের এক ব্যাক্তি জানান, ১৭ কোটি টাকার একটি বন্ধকী দলিল নিবন্ধন করতে সাব রেজিস্ট্রার সরকারী ফি বাদে ওমেদার মাধ্যমে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ, বায়নারত দলিল বাতিল করার জন্য এক সপ্তাহ ঘুরিয়ে অবশেষে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে দলিল নিবন্ধন করেন সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান
দলিল লিখক বলেন, সাব রেজিস্ট্রার দায়িত্ব পালন করতে এসে আরও বেশি হয়রানী করছে। তার সংকেত ছাড়া কোন দলিল নিবন্ধন হয় না। সরকারী আইনের কোন তোয়াক্কা না করে তিনি তার মনগড়া আইন তৈরি করে হয়রানী করছেন।
দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাছে সাব রেজিস্ট্রারের অনিয়ম ও উৎকোচের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সাব রেজিস্ট্রার সকল দলিলে এমন করেন না। তবে কিছু কিছু দলিলে এমন সমস্যা সৃষ্টি করেন। সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কেরানী বলেন, আমি শুধু সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে স্যারের কাছে দলিল পাঠিয়ে দেই। ঘুষের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার দায়িত্ব মো : মজিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার সকালে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে সরাসরি কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ উন্মোচন করতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে মুখোশ উন্মোচন প্রথম পর্ব ১
Editor & Publisher: Ashik Biswas
Office : Road No. 25 Bolck 12 / D Pallabi
Mirpur Dhaka 1216 ashik0191777@gmail.com
Mobile number 01770401138
ই- পেপার কপি