ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুর সদর সাবরেজিস্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহকারী নিরঞ্জন চন্দ্র ধর বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ ভূমি সহকারী অশোক কুমারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ রুপগঞ্জ পূর্ব সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ টঙ্গী সাব রেজিস্টার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ মোহাম্মদপুর সাবরেজিস্টার বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা জেলা দর্শনা থানা ফেনসিডিল সহ আসামি কে আটক করেছে পুলিশ খুলনায় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নরসিংদী সদর ভূমি অফিসের কানুগো বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ বন্দর সাব রেজিস্ট্রি অফিস উমেদার মেহেদী হাসান ও সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল   রহমতপুর বাবুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

মিরপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে চলছে সহকারী সবুজ-ফরজের রমরমা ঘুষ দূর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্য

  • আপডেট সময় : ১১:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে
ভোরের হাওয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিস এখন পরিণত হয়েছে সবুজ-ফজরের রমরমা ঘুষ দূর্নীতি ও দলিল বাণিজ্যের নিরাপদ অভয়ারণ্যে। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল।

 

অভিযোগ রয়েছে, নাল জমিকে ডোবা নালা দেখিয়ে হায়ার ভ্যালু আর আন্ডার ভ্যালুর মারপ্যাচে ফেলে দলিল প্রতি সাব রেজিস্ট্রার এর নামের উপর কালেকশন করা হচ্ছে ৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। আবার কখনো কখনো দলিলে সমস্যা আছে এমন মনগড়া অভিযোগ তুলে দলিল লেখক সমিতির কতিপয় নামধারী নেতা, সাব রেজিস্ট্রার এর সহকারী সবুজ এবং ফরজ এর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রার লুটে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

 

আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক   প্রেরিত তিন পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনের সারাংশটুকু অবহিত করে সবুজ-ফরজের নিকট বক্তব্য জানার প্রেরণ করা হলেও তাঁরা কোনো বক্তব্য দেননি।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এখন সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তৌফিক সালাউদ্দিন।

 

দেশের ভূমি অফিস ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসগুলোর দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল। মিরপুরের সচেতন এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সাব রেজিস্ট্রার এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এখানে সহকারী সবুজ ও ফরজ এবং তাদের নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট এই সাব রেজিস্ট্রার অফিসকে ঘুষ দূর্নীতির তীর্থ স্থানে পরিণত করেছেন।

 

সবুজ-ফজর জুটি তাদের নিজস্ব পোষ্য দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে এই অফিসকে জিম্মি করে দুহাতে লুটছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।

সাব রেজিস্ট্রার তৌফিক সালাউদ্দিন এর খুব বিশ্বস্ত এই সবুজ ও ফজর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে নিজস্ব একটি বলয় সৃষ্টি করেছেন।

 

এদিকে সচেতন এলাকাবাসী বলছেন অসংখ্য দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাব রেজিস্ট্রার ও তাঁর অধিনস্ত কর্মচারীদের অপসারণ ও নামে বেনামে গড়ে উঠা তাঁদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ তল্লাশীপূর্বক বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনতে মাননীয় আইজিআর উম্মে কুলসুম মহোদয় সহ দুদকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

পুনশ্চঃ মিররপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতির কোনো রিপোর্ট যাতে কোনো পত্রিকায় ছাপা না হয় এ কারণে সাব রেজিস্ট্রার তৌফিক সালাউদ্দিন এর নির্দেশে দলিল লেখক সমিতি ও তার স্টাফদের যৌথ উদ্যোগে প্রথম শ্রেণীর সাংবাদিকদের মাস প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার, দ্বিতীয় শ্রেণির সাংবাদিকদের মাস প্রতি ১ থেকে ২ হাজার ও নামসর্বস্ব নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের মাস প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার করে দিয়ে এ অফিসের কোনো নেগেটিভ নিউজ ছাপা হবেনা মর্মে অঙ্গীকার করিয়ে নেন।

 

এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার এর মোবাইল নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ উন্মোচন করতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মিরপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে চলছে সহকারী সবুজ-ফরজের রমরমা ঘুষ দূর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্য

আপডেট সময় : ১১:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিস এখন পরিণত হয়েছে সবুজ-ফজরের রমরমা ঘুষ দূর্নীতি ও দলিল বাণিজ্যের নিরাপদ অভয়ারণ্যে। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল।

 

অভিযোগ রয়েছে, নাল জমিকে ডোবা নালা দেখিয়ে হায়ার ভ্যালু আর আন্ডার ভ্যালুর মারপ্যাচে ফেলে দলিল প্রতি সাব রেজিস্ট্রার এর নামের উপর কালেকশন করা হচ্ছে ৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। আবার কখনো কখনো দলিলে সমস্যা আছে এমন মনগড়া অভিযোগ তুলে দলিল লেখক সমিতির কতিপয় নামধারী নেতা, সাব রেজিস্ট্রার এর সহকারী সবুজ এবং ফরজ এর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রার লুটে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

 

আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক   প্রেরিত তিন পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনের সারাংশটুকু অবহিত করে সবুজ-ফরজের নিকট বক্তব্য জানার প্রেরণ করা হলেও তাঁরা কোনো বক্তব্য দেননি।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এখন সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তৌফিক সালাউদ্দিন।

 

দেশের ভূমি অফিস ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসগুলোর দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল। মিরপুরের সচেতন এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সাব রেজিস্ট্রার এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এখানে সহকারী সবুজ ও ফরজ এবং তাদের নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট এই সাব রেজিস্ট্রার অফিসকে ঘুষ দূর্নীতির তীর্থ স্থানে পরিণত করেছেন।

 

সবুজ-ফজর জুটি তাদের নিজস্ব পোষ্য দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে এই অফিসকে জিম্মি করে দুহাতে লুটছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।

সাব রেজিস্ট্রার তৌফিক সালাউদ্দিন এর খুব বিশ্বস্ত এই সবুজ ও ফজর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে নিজস্ব একটি বলয় সৃষ্টি করেছেন।

 

এদিকে সচেতন এলাকাবাসী বলছেন অসংখ্য দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাব রেজিস্ট্রার ও তাঁর অধিনস্ত কর্মচারীদের অপসারণ ও নামে বেনামে গড়ে উঠা তাঁদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ তল্লাশীপূর্বক বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনতে মাননীয় আইজিআর উম্মে কুলসুম মহোদয় সহ দুদকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

পুনশ্চঃ মিররপুর-১ সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতির কোনো রিপোর্ট যাতে কোনো পত্রিকায় ছাপা না হয় এ কারণে সাব রেজিস্ট্রার তৌফিক সালাউদ্দিন এর নির্দেশে দলিল লেখক সমিতি ও তার স্টাফদের যৌথ উদ্যোগে প্রথম শ্রেণীর সাংবাদিকদের মাস প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার, দ্বিতীয় শ্রেণির সাংবাদিকদের মাস প্রতি ১ থেকে ২ হাজার ও নামসর্বস্ব নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের মাস প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার করে দিয়ে এ অফিসের কোনো নেগেটিভ নিউজ ছাপা হবেনা মর্মে অঙ্গীকার করিয়ে নেন।

 

এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার এর মোবাইল নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ উন্মোচন করতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে