কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারোয়ার আলম বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ আর লুটপাট বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে
- আপডেট সময় : ০২:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৭৩ বার পড়া হয়েছে
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন রামু উপজেলা লাইসেন্সবিহীন অর্ধ শতাধিক স’মিলে দিবারাত্রি চেরাই হচ্ছে কোটি কোটি টাকার চোরাই কাঠ হলেও দেখার কেউ নেই।যে ভাবে পাহাড় ও বনের গাছ কাটা হচ্ছে তাতে অচিরেই এতদঞ্চলে বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে বলে আশংকা করছেন পরিবেশ বিদগনেরা। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রতিটি স’মিল থেকে মাসিক ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা মাসোয়ারা দিয়ে এই অপকর্মটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
বন নীতিমালা অনুযায়ী বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে করাত কল (স’মিল) করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নেই পরিবেশের ছাড়পত্র। বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারোয়ার আলম সব কিছু দেখে ও কেনো চুপ থাকে কোন অনুমোদন। তারপরেও থেমে নেই দিবারাত্রি চোরাই কাঠ চেরাই প্রক্রিয়া। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, এগুলো দেখভালের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের। কিন্তু তারা অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি ওভারলুক করে থাকেন। জানা যায় এতদ্বঞ্চলের শতাধিক স’মিল থেকে প্রতিমাসেই কোটি টাকার উপরে ঘুষ আদায় হয়। যা সংশ্লিষ্ট বিটের গার্ড থেকে শুরু করে ডিএফও পর্যন্ত পৌঁছায়। যে কারণে তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে আসছেন। এছাড়া পাহাড় দখলদাররা নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে এই বনবিভাগের হাজার হাজার একর পাহাড় সমতল ভুমিতে পরিণত করছে।
সরেজমিনে গিয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রাজার কুল রেঞ্জে ৪ টি বিটের মধ্যে, পূর্ব রাজারকুল স’মিল, পশ্চিম রাজার কুল, শিকল ঘাট দারিয়ারদীঘি,বড় ঢেবা’চিতাখালি,বাইন্নার দোকান মতি ব্রিজ, মীরজা আলির দোকান,পশ্চিম মির্জাআলির দোকান সহ এমন চিত্র দেখা গেছে। জানা যায়,পাহাড় দখলদারদের তালিকায় ইয়াবা কারবারদের নামও রয়েছে। সেখানে সবুজ প্রাকৃতিক বিভিন্ন মূল্যবান গাছপালা এবং পাহাড় কেটে চাষের জমি করেছে।এভাবে পাহাড় কাটা, বনভূমি দখল করা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে পরিবেশ প্রেমিরা মনে করেন।এভাবে পাহাড় এবং বনের গাছ কাটলে খুব অচিরেই কক্সবাজারের বনভুমি ধ্বংস হবে সচেতন মহলের ধারণা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের পাহাড় দখলের লীলাখেলায় মেতেছে ভূমিদস্যু চক্র। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রামু বনবিভাগকে মাসোহারা দিয়ে চলছে শতাধিক অবৈধ স’মিল। এসব টাকা বন কর্মচারী থেকে শুরু করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার মোঃ সারোয়ার আলম পকেটেও যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে চিরাই হচ্ছে শত শত একর সামাজিক বনায়নের গাছ।এর মধ্যে
পূর্ব রাজারকুল স’মিল, পশ্চিম রাজার কুল, শিকল ঘাট,দারিয়ারদীঘি,বড় ঢেবা’চিতাখালি,বাইন্নার দোকান মতি ব্রিজ,মীরজা আলির দোকান, পশ্চিম মির্জা আলির দোকান সহ এসব এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি অবৈধ স’মিল। কয়েকজন গ্রামবাসীর ভাষ্য মতে, ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান হয়নি।বনবিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় স্থাপিত স’মিলে চোরাই গাছ চিরাই ও পাচারের ডিপুতে পরিণত হয়েছে এগুলো। এসব চিরাইকরা কাঠ ডাম্পার ও জীপ যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহ করা হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রামু উপজেলার রাজার কুলও, ফতেখাঁরকুলে অবৈধ অর্ধ শতাধিক স’মিল বসানো হয়েছে। এসব স’মিলে গিলে খাচ্ছে পাহাড়ের হাজার হাজার মূল্যবান গাছ। এবং মাসে লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে ডিএফও’র মোঃ সারোয়ার আলম এর পকেটে। এসব টাকা বিট অফিসার ও রেঞ্জ অফিসারের মাধ্যমে যায় ডিএফও’র হাতে। বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন