ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুর সদর সাবরেজিস্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহকারী নিরঞ্জন চন্দ্র ধর বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ ভূমি সহকারী অশোক কুমারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ রুপগঞ্জ পূর্ব সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ টঙ্গী সাব রেজিস্টার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ মোহাম্মদপুর সাবরেজিস্টার বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা জেলা দর্শনা থানা ফেনসিডিল সহ আসামি কে আটক করেছে পুলিশ খুলনায় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নরসিংদী সদর ভূমি অফিসের কানুগো বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ বন্দর সাব রেজিস্ট্রি অফিস উমেদার মেহেদী হাসান ও সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল   রহমতপুর বাবুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে হরিলুট দেখার কেউ নেই

মুন্সিগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহর ঘুষ দূর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্য চলছেই, জেলা রেজিস্ট্রার নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের ভূমিকাও রহস্যজনক

  • আপডেট সময় : ০৫:০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
ভোরের হাওয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সিগঞ্জের সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিস এখন পরিণত হয়েছে সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহর রমরমা ঘুষ দূর্নীতি ও দলিল বাণিজ্যের অভয়ারণ্যে। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল। নির্ধারিত সরকারী ফিস দিয়ে দলিল সম্পাদন করতে গেলে ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। রহস্যজনক কারণে জেলা রেজিস্ট্রারও রয়েছেন নিশ্চুপ।।
এ অফিসে এখন সাব রেজিস্ট্রার এর কথায় শেষ কথা। তাঁকে এই নগ্ন ঘুষ দূর্নীতি আর দলিল বাণিজ্যের লুটপাটে সার্বিক সহায়তা করে আসছে দলিল লেখক সমিতির কতিপয় নেতা ও তাঁর অধিনস্ত কথিত সহকারী।
অভিযোগ উঠেছে সাব রেজিস্ট্রার প্রতি কর্মদিবসে দলিল প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছেন ৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। অথবা জমির মূল্য অনুযায়ী প্রতি লাখে ৫০০ টাকা হিসেবে।
এর আগে তিনি রূপগঞ্জে সাব রেজিস্ট্রার থাকাকালীন সময়ে ব্যাপক দুর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্যের কারণে ছিলেন ব্যাপক আলোচনা সমালোচনায়। সেসময় দলিল প্রতি ঘুষ দুর্নীতির পাশাপাশি জাল দলিল করে এবং কৌশলে মূল মালিকের ছবি তুলে ফেলে একাধিক জাল দলিল সম্পাদন করে উঠে এসেছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ওই সময় তাঁর বেশুমার দলিল বাণিজ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিকবার দলিল লেখক সমিতি কর্মবিরতি পালন করে।
সে সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই তার সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতি আর দলিল বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট।
সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহ সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগদানের শুরু থেকেই নাল জমিকে ডোবা নালা দেখিয়ে হায়ার ভ্যালু আর আন্ডার ভ্যালুর মারপ্যাচে ফেলে হাতিয়ে নিতে থাকেন কড়কড়ে বান্ডিল।
এছাড়া কম লেখাপড়া জানা এবং সহজসরল মানুষকে জমিতে সমস্যা আছে মর্মে ভুলভাল বুঝিয়ে তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে লুটে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
এতে করে সাবরেজিস্টার নামে বেনামে অঢেল অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।।
এদিকে জেলা রেজিস্ট্রার মুন্সিগঞ্জ রহস্যজনক কারণে মুন্সিগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহর ঘুষ দুর্নীতি আর দলিল বাণিজ্যের লাগাম টেনে না ধরাই তাঁর সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতি এখন রূপগঞ্জের দুর্নীতির রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। 
তাই দুর্নীতিবাজ এই সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহর অপসারণ ও তাঁর অবৈধ সম্পদের খোঁজ তল্লাশী নিতে আইজিআর মহোদয় সহ দুদকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।।
বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে ভোরের হাওয়া দুর্নীতি সন্ধানে প্রতিদিন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে হরিলুট দেখার কেউ নেই

মুন্সিগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহর ঘুষ দূর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্য চলছেই, জেলা রেজিস্ট্রার নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের ভূমিকাও রহস্যজনক

আপডেট সময় : ০৫:০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সিগঞ্জের সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিস এখন পরিণত হয়েছে সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহর রমরমা ঘুষ দূর্নীতি ও দলিল বাণিজ্যের অভয়ারণ্যে। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল। নির্ধারিত সরকারী ফিস দিয়ে দলিল সম্পাদন করতে গেলে ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। রহস্যজনক কারণে জেলা রেজিস্ট্রারও রয়েছেন নিশ্চুপ।।
এ অফিসে এখন সাব রেজিস্ট্রার এর কথায় শেষ কথা। তাঁকে এই নগ্ন ঘুষ দূর্নীতি আর দলিল বাণিজ্যের লুটপাটে সার্বিক সহায়তা করে আসছে দলিল লেখক সমিতির কতিপয় নেতা ও তাঁর অধিনস্ত কথিত সহকারী।
অভিযোগ উঠেছে সাব রেজিস্ট্রার প্রতি কর্মদিবসে দলিল প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছেন ৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। অথবা জমির মূল্য অনুযায়ী প্রতি লাখে ৫০০ টাকা হিসেবে।
এর আগে তিনি রূপগঞ্জে সাব রেজিস্ট্রার থাকাকালীন সময়ে ব্যাপক দুর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্যের কারণে ছিলেন ব্যাপক আলোচনা সমালোচনায়। সেসময় দলিল প্রতি ঘুষ দুর্নীতির পাশাপাশি জাল দলিল করে এবং কৌশলে মূল মালিকের ছবি তুলে ফেলে একাধিক জাল দলিল সম্পাদন করে উঠে এসেছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ওই সময় তাঁর বেশুমার দলিল বাণিজ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিকবার দলিল লেখক সমিতি কর্মবিরতি পালন করে।
সে সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই তার সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতি আর দলিল বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট।
সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহ সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগদানের শুরু থেকেই নাল জমিকে ডোবা নালা দেখিয়ে হায়ার ভ্যালু আর আন্ডার ভ্যালুর মারপ্যাচে ফেলে হাতিয়ে নিতে থাকেন কড়কড়ে বান্ডিল।
এছাড়া কম লেখাপড়া জানা এবং সহজসরল মানুষকে জমিতে সমস্যা আছে মর্মে ভুলভাল বুঝিয়ে তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে লুটে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
এতে করে সাবরেজিস্টার নামে বেনামে অঢেল অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।।
এদিকে জেলা রেজিস্ট্রার মুন্সিগঞ্জ রহস্যজনক কারণে মুন্সিগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহর ঘুষ দুর্নীতি আর দলিল বাণিজ্যের লাগাম টেনে না ধরাই তাঁর সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতি এখন রূপগঞ্জের দুর্নীতির রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। 
তাই দুর্নীতিবাজ এই সাব রেজিস্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দীন আব্দুল্লাহর অপসারণ ও তাঁর অবৈধ সম্পদের খোঁজ তল্লাশী নিতে আইজিআর মহোদয় সহ দুদকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।।
বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে ভোরের হাওয়া দুর্নীতি সন্ধানে প্রতিদিন