ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুর সদর সাবরেজিস্টার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহকারী নিরঞ্জন চন্দ্র ধর বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ ভূমি সহকারী অশোক কুমারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ রুপগঞ্জ পূর্ব সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ টঙ্গী সাব রেজিস্টার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ মোহাম্মদপুর সাবরেজিস্টার বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা জেলা দর্শনা থানা ফেনসিডিল সহ আসামি কে আটক করেছে পুলিশ খুলনায় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নরসিংদী সদর ভূমি অফিসের কানুগো বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ বন্দর সাব রেজিস্ট্রি অফিস উমেদার মেহেদী হাসান ও সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল   রহমতপুর বাবুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

বরিশালে সন্ধান মিলেছে এক কোটিপতি সাব রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ আর লুটপাট বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

  • আপডেট সময় : ০৫:২২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভোরের হাওয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার পর এবার বরিশালে সন্ধান মিলেছে এক কোটিপতির। তিনি চাকরি করেন হাজার টাকার, সম্পদ করেছেন শতকোটি টাকার। গত কয়েকদিন ধরে বরিশালে পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। এই কোটিপতি বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোল। নামে-বেনামে তিনি বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নানা উপায়ে কিনেছেন বিলাসবহুল দামি গাড়ি ও একাধিক বহুতল ভবন। ঢাকায় এবং বরিশালে ৩টি ফ্ল্যাটসহ সরকারি জমিতে করেছেন পাঁচতলা ভবন। নামে-বেনামে কিনেছেন একরের পর একর জমি। স্ত্রীর নামেও কিনেছেন একাধিক জমি, করেছেন মাছের ঘেরসহ এগ্রো ফার্ম। অসীম কল্লোল এ ব্যাপারে একটি পত্রিকায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন সম্পত্তি বা ফ্ল্যাট তার নিজের নামে নয় আত্মীয়স্বজনের নামে।
বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন তার জমি ও সম্পদের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র পোর্ট রোড এলাকায় সরকারি খাসজমিতে করেছেন পাঁচতলা ভবন। ঢাকায় কিনেছেন দু’টি ফ্ল্যাট, বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোড এলাকার অগ্রণী হাউজিং লিমিটেডের ড্রিম প্যালেসে কিনেছেন কোটি টাকার ফ্ল্যাট। (ফ্ল্যাট নং-৩-অ)। এ ছাড়া সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদে ১ একর ২৫ শতাংশ জমিতে স্ত্রীর নামে করেছেন সোনার বাংলা মৎস্য খামার ও এগ্রো ফার্ম।
শহরতলির কাগাসুরা মুকুন্দপট্টি রাস্তার দুই পাসে ৮০ শতাংশ জমি কিনে করেছেন সুগন্ধা এগ্রো অ্যান্ড ফিশারিজ। একই এলাকায় কাগাসুরা বাজারের পাশে একশ’ শতাংশ জমি কিনে তার ওপর করেছেন মাল্টা বাগান। নগরীর ৪নং ওয়ার্ডে কিনেছেন ১২ শতাংশ প্লট ও লাকুটিয়া বাজার এলাকায় ২০ শতাংশ জমির ওপর করেছেন সুগন্ধা পোল্ট্রি খামার। তালতলী বাজারে স্ত্রীর নামে রয়েছে ইট, বালু ও রড সিমেন্টের দোকান।
এ ছাড়া নিজের, স্ত্রীর ও ছেলের নামে রয়েছে প্রচুর সম্পদ। চাকরির সুবাদে যখন যেখানে বদলি হয়েছেন সেখানেই কিনেছেন জমি ও ফ্ল্যাট। তার সব সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকশ’ কোটি টাকা হবে বলে জানান স্থানীয়রা। একজন সাব-রেজিস্ট্রারের এত সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখার দাবিও জানান স্থানীয়রা।
সায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন জানান, একজন সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে এত বিশালাকার জমি কীভাবে কিনেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কাগাসুরা বাজার এলাকার আলমগীর বলেন, শুনেছি সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এ জমি কিনে মাল্টা বাগান করেছেন। এই বাগান দেখাশোনার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেয়া রয়েছে এখানে। মাঝে মাঝে সাব-রেজিস্ট্রার এখানে এসে ঘুরে যান। এ ছাড়া এই এলাকায় তার আরও কয়েকটি বিশালাকার প্লট রয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে যদি অবৈধভাবে কোনো কিছু করে থাকেন তাহলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি সরকারি জমিতে পাঁচতলা ভবনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এত সম্পত্তি আমার নেই, তবে বরিশালে একটি, ঢাকায় দু’টি ফ্ল্যাটসহ পাঁচতলা ভবন আছে। এ ছাড়া কিছু জায়গা রয়েছে। কাগাসুরায় আমার ভায়রার জমি আছে, সেটি আমি দেখাশুনা করি।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্পত্তি ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে আছে। ফাইলের বাইরে এক শতাংশ জমিও নেই। সরকারকে প্রতি বছর এসব সম্পত্তির ট্যাক্স দেই। তাছাড়া এসব নিয়ে দু-তিনবার দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ডাকা হয়েছিল। তারা সম্পদের বিবরণী খতিয়ে দেখেছে। বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বরিশালে সন্ধান মিলেছে এক কোটিপতি সাব রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ আর লুটপাট বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

আপডেট সময় : ০৫:২২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকার পর এবার বরিশালে সন্ধান মিলেছে এক কোটিপতির। তিনি চাকরি করেন হাজার টাকার, সম্পদ করেছেন শতকোটি টাকার। গত কয়েকদিন ধরে বরিশালে পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। এই কোটিপতি বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোল। নামে-বেনামে তিনি বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নানা উপায়ে কিনেছেন বিলাসবহুল দামি গাড়ি ও একাধিক বহুতল ভবন। ঢাকায় এবং বরিশালে ৩টি ফ্ল্যাটসহ সরকারি জমিতে করেছেন পাঁচতলা ভবন। নামে-বেনামে কিনেছেন একরের পর একর জমি। স্ত্রীর নামেও কিনেছেন একাধিক জমি, করেছেন মাছের ঘেরসহ এগ্রো ফার্ম। অসীম কল্লোল এ ব্যাপারে একটি পত্রিকায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন সম্পত্তি বা ফ্ল্যাট তার নিজের নামে নয় আত্মীয়স্বজনের নামে।
বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন তার জমি ও সম্পদের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র পোর্ট রোড এলাকায় সরকারি খাসজমিতে করেছেন পাঁচতলা ভবন। ঢাকায় কিনেছেন দু’টি ফ্ল্যাট, বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোড এলাকার অগ্রণী হাউজিং লিমিটেডের ড্রিম প্যালেসে কিনেছেন কোটি টাকার ফ্ল্যাট। (ফ্ল্যাট নং-৩-অ)। এ ছাড়া সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদে ১ একর ২৫ শতাংশ জমিতে স্ত্রীর নামে করেছেন সোনার বাংলা মৎস্য খামার ও এগ্রো ফার্ম।
শহরতলির কাগাসুরা মুকুন্দপট্টি রাস্তার দুই পাসে ৮০ শতাংশ জমি কিনে করেছেন সুগন্ধা এগ্রো অ্যান্ড ফিশারিজ। একই এলাকায় কাগাসুরা বাজারের পাশে একশ’ শতাংশ জমি কিনে তার ওপর করেছেন মাল্টা বাগান। নগরীর ৪নং ওয়ার্ডে কিনেছেন ১২ শতাংশ প্লট ও লাকুটিয়া বাজার এলাকায় ২০ শতাংশ জমির ওপর করেছেন সুগন্ধা পোল্ট্রি খামার। তালতলী বাজারে স্ত্রীর নামে রয়েছে ইট, বালু ও রড সিমেন্টের দোকান।
এ ছাড়া নিজের, স্ত্রীর ও ছেলের নামে রয়েছে প্রচুর সম্পদ। চাকরির সুবাদে যখন যেখানে বদলি হয়েছেন সেখানেই কিনেছেন জমি ও ফ্ল্যাট। তার সব সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকশ’ কোটি টাকা হবে বলে জানান স্থানীয়রা। একজন সাব-রেজিস্ট্রারের এত সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখার দাবিও জানান স্থানীয়রা।
সায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন জানান, একজন সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে এত বিশালাকার জমি কীভাবে কিনেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কাগাসুরা বাজার এলাকার আলমগীর বলেন, শুনেছি সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এ জমি কিনে মাল্টা বাগান করেছেন। এই বাগান দেখাশোনার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেয়া রয়েছে এখানে। মাঝে মাঝে সাব-রেজিস্ট্রার এখানে এসে ঘুরে যান। এ ছাড়া এই এলাকায় তার আরও কয়েকটি বিশালাকার প্লট রয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে যদি অবৈধভাবে কোনো কিছু করে থাকেন তাহলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি সরকারি জমিতে পাঁচতলা ভবনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এত সম্পত্তি আমার নেই, তবে বরিশালে একটি, ঢাকায় দু’টি ফ্ল্যাটসহ পাঁচতলা ভবন আছে। এ ছাড়া কিছু জায়গা রয়েছে। কাগাসুরায় আমার ভায়রার জমি আছে, সেটি আমি দেখাশুনা করি।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্পত্তি ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে আছে। ফাইলের বাইরে এক শতাংশ জমিও নেই। সরকারকে প্রতি বছর এসব সম্পত্তির ট্যাক্স দেই। তাছাড়া এসব নিয়ে দু-তিনবার দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ডাকা হয়েছিল। তারা সম্পদের বিবরণী খতিয়ে দেখেছে। বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন