সংবাদ শিরোনাম ::
গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৬:১৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
জানানো হয় এই কাজ এডজাস্টমেন্টের জন্য রাখা হয়েছে। এ রকম অনেক কাজ এডজাস্টমেন্ট বলে ঠিকাদারদের করতে দেওয়া হয় না। অনেক ঠিকাদারের কাজ শেষ, কিন্তু তার টেবিলে বিল আটকিয়ে রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণপূর্তের এক কর্মকর্তা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই অফিসে কাজ করছি। এ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলী আগে কখনও দেখিনি। নিয়মিত অফিস করেন না। যখন টাকা নেওয়ার সময় আসবে সেদিন অফিসে আসেন।
গণপূর্ত সূত্রে জানা যায়, বিগত দুই বছরে মৌলভীবাজার গণপূর্ত থেকে রাজনগর কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শেরপুর হাইওয়ে আউটপোস্ট, বড়লেখা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জুড়ী থানা ভবন, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জেলা কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি, জুড়ী ফায়ার সার্ভিস, জুড়ী ভূমি অফিস, কমলগঞ্জ ভূমি অফিস, মৌলভীবাজার জেলা মডেল মসজিদ ও বিভিন্ন বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হয়। এসব প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৯ লক্ষাধিক টাকা। অভিযোগ উঠেছে, এসব সংস্কার কাজ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেই ঠিকাদারি করে বাস্তবায়ন করেন। কামকাওয়াস্তে দুই-চারজন নির্দিষ্ট ঠিকাদার এসব কাজ করেন।
এসব বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান দেশ বলেন, সব অভিযোগ অসত্য। যারা কাজ পায়না তারা-তো অভিযোগ করবেই। তাঁর আর কিছু বলার নেই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
গণপূর্তের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী দেশ বলেন, মৌখিক কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলীকে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও অভিযোগগুলোর খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন