সংবাদ শিরোনাম ::
বন্দর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে চলছে রমরমা ঘুষ বানিজ্য
নারায়ণগঞ্জ বন্দর সাব রেজিস্ট্রি অফিস উমেদার মেহেদী হাসান ও সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে
- আপডেট সময় : ০৪:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ বন্দর সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ এর অফিসে চলছে রমরমা ঘুষ দূর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্য নারায়ণগঞ্জ বন্দর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এখন পরিণত হয়েছে রমরমা ঘুষ দূর্নীতি ও দলিল বাণিজ্যের নিরাপদ অভয়ারণ্যে। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল আমাদের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চলক তথ্য এই অফিসে খালি ঘুষ আর ঘুষ ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না
অভিযোগ রয়েছে, নাল জমিকে ডোবা নালা দেখিয়ে হায়ার ভ্যালু আর আন্ডার ভ্যালুর মারপ্যাচে ফেলে দলিল প্রতি সাব রেজিস্ট্রার এর নামের উপর কালেকশন করা হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। আবার কখনো কখনো দলিলে সমস্যা আছে এমন মনগড়া অভিযোগ তুলে দলিল লেখক সমিতির কতিপয় নামধারী নেতা, সহ সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ অফিসে উমেদার মেহেদী হাসানের মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রার লুটে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা এমনটাই বেরিয়ে এসেছে আমাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে
আমাদের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার প্রেরিত তিন পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনের সারাংশটুকু অবহিত করে সাবরেজিস্টার নিকট বক্তব্য জানার প্রেরণ করা হলেও তার ফোন নাম্বার কোন বন্ধ পাওয়া গেছে এর কারনে কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাব রেজিস্ট্রার অসংখ্য অভিযোগ আছে এবং দুদকে মামলাও চলমান আছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর অফিস এখন সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ কাউছার আহমেদ
দেশের ভূমি অফিস ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসগুলোর দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল। নারায়ণগঞ্জ বন্দর সচেতন এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সাব রেজিস্ট্রার এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এখানে অফিস সহকারী এবং উমেদার মেহেদী হাসান তাদের নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট এই সাব রেজিস্ট্রার অফিসকে ঘুষ দূর্নীতির তীর্থ স্থানে পরিণত করেছেন।
তাদের নিজস্ব পোষ্য দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে এই অফিসকে জিম্মি করে দুহাতে লুটছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।
সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ এর খুব বিশ্বস্ত উমেদার মেহেদী হাসান এবং তারই নেতৃত্বে দালাল চক্রের সিন্ডিকেট দিয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে নিজস্ব একটি বলয় সৃষ্টি করেছেন।
এদিকে সচেতন এলাকাবাসী বলছেন অসংখ্য দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাব রেজিস্ট্রার ও তাঁর অধিনস্ত কর্মচারীদের অপসারণ ও নামে বেনামে গড়ে উঠা তাঁদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ তল্লাশীপূর্বক বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনতে মাননীয় আইজিআর উম্মে কুলসুম মহোদয় সহ দুদকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
পুনশ্চঃ বন্দর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতির কোনো রিপোর্ট যাতে কোনো পত্রিকায় ছাপা না হয় এ কারণে সাব রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ এর নির্দেশে দলিল লেখক সমিতি ও তার স্টাফদের যৌথ উদ্যোগে প্রথম শ্রেণীর সাংবাদিকদের মাস প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার, দ্বিতীয় শ্রেণির সাংবাদিকদের মাস প্রতি ১ থেকে ২ হাজার ও নামসর্বস্ব নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের মাস প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার করে দিয়ে এ অফিসের কোনো নেগেটিভ নিউজ ছাপা হবেনা মর্মে অঙ্গীকার করিয়ে নেন।
এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার এর মোবাইল নাম্বারে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায় রিসিভ না করাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের বিরুদ্ধে নিউজ চলমান থাকবে
বিস্তারিত জানতে দৈনিক ভোরের হাওয়া দুর্নীতির সন্ধানে প্রতিদিন এ চোখ রাখুন এবং দ্বিতীয় পর্ব আসছে